বিশ্বের পুলিশ ভাই ভাই, মোদের কোনো সীমা নাই!
-
আশিস বিশ্বাস, অনলাইন সংবাদকর্মী
Twitter: www.twitter.com/Ashishkbiswas
আমাদের পুলিশ বাহিনী গুণগত মানে এখন মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সমান। কারণ, তারা ওই দেশের সমান পারদর্শিতা অর্জন করেছে। এখন মানে
ও মনে সমান তারা। সে কারণে আচরণও এক!
তার অনেক উদাহরণ থাকলেও দুই দেশের মাত্র একটি
একটি ঘটনার উদাহরণই যথেষ্ট হবে বলে আমার মনে হলো। দুই দেশের দুটো ঘটনাই একই দিনে
ঘটেছে- ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫। বাংলাদেশে ঘটেছে ঢাকায় আর মার্কিন মুলুকে নিউইয়র্কে।
বাংলাদেশে একদল তরুণ ‘মজার ইশকুল’ নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করেন। তারা মূলত পথশিশুদের ()
জন্য লেখাপড়া করানো, খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করে তারা। তাদের কর্মকাণ্ডটা মূলত
স্বেচ্ছাসেবী। তারা ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে পথশিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন।
প্রথমে রাস্তায় বসেই তারা পথশিশুদের পড়াতেন। পরে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন।
এরই এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের আটক করে শিশু
পাচারকারী হিসেবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে তা পোস্ট করা
হয়। সেখানে দাবি করা হয়, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তারা
শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য।
(DMP statement) |
কী লজ্জা, কী লজ্জা আমাদের...আটকদের নয়।
সীমাহীন ঘৃণা সেই সব পুলিশদের যারা এই মহান হৃদয়ের তরুণদের আটক করে আদালতে তুলেছে।
কারাগারে পাঠিয়েছে।
গুটিকয়েক পুলিশ অসাধু পুলিশ সদস্যের কারণে পুরো
পুলিশ বাহিনী কলঙ্কিত হলো!
আটকরা যদি শিশু পাচারকারী হবে, তাহলে হাজার
হাজার ফেসবুক কমেন্ট পড়বে কেন। প্রথমে পুলিশের কারণে সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য
পরিবেশিত হলেও তারা যে, শিশু পাচারকারী নয়, সে বিষয়ে সবধরনের তথ্যই তারা তুলে
ধরেছে। টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, প্রিন্ট মিডিয়া, ব্লগার, সাংবাদিক,
শিক্ষক-শিক্ষার্থী আসলে সমাজের সবাই এদের পেছেন এসে দাঁড়িয়েছেন।
Facebook comments- আরিয়ান আরিফ ও জাকিয়ারা শিশু পাচারকারী না
মজার ইশকুল-এর খবর প্রচার করলো এনটিভি
যত তাড়াতাড়ি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এদের
মুক্ত করা যাবে, ততই পুলিশ বাহিনী লজ্জামুক্ত হবে। আমরা ততই দোষমুক্ত, ভারমুক্ত
হবো...যত দেরি হবে, তত বেশি আমরা বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হতেই থাকবো...জাতি হিসেবে
আমাদের মাথা হেঁট হতেই থাকবে।
মজার ইশকুল সম্পর্কে বক্তব্য রাখছেন জাকিয়া সুলতানা-
মজার ইশকুল-এর
স্পোর্টসের খবর এটিএন বাংলায়-
২.
তুমি কৃষ্ণাঙ্গ, তাই বিএমডব্লিউ তোমার নয়-
নিউইয়র্ক পুলিশ
Kamilah Brock |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- কৃষ্ণাঙ্গ বলে পুলিশের
বিশ্বাস হয়নি দামি গাড়ির মালিক হতে পারেন তিনি। ঘটনাটি পৃথিবীর সুপার পাওয়ার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের এবং তারিখ একই ১২ সেপ্টেম্বর।
এদিন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ
একই কাজ করেছে। জোর করে তাদের ইচ্ছে চাপিয়ে দিয়েছে।
এদিন কামিলা ব্রক (Kamilah Brock) এক
কৃষ্ণাঙ্গ নারী তার বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। মনের আনন্দে গান শুনতে শুনতে যাচ্ছিলেন তিনি। তা
সহ্য হয়নি বর্ণবাদী পুলিশের। তাই পথিমধ্যে তার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি যে বিএমডব্লিউ-এর মালিক হতে পারে তা
বিশ্বাস করেনি নিউইয়র্ক পুলিশ। তার কথা একেবারে পাত্তা না দিয়ে জোর করে কামিলাকে মানসিক
হাসপাতলে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আবার জোর করে তার শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন পুশ করা হয়। সেখানে
আটদিন ছিলেন কামিলা ব্রক (Kamilah Brock)।
কামিলা ফিরে আসার পর ঘটনাটি প্রকাশ পায়। পুলিশ
ভুল নয় বরং ইচ্ছে করেই অপরাধ করতে পারে, সেই সঙ্গে দেশের নাগরিকের সঙ্গে বর্ণবাদী
আচরণ করতে পারে, তার বড় প্রমাণ দিলো ওই কৃষ্ণাঙ্গ নারীর সঙ্গে।
হাফিংটন পোস্টের নিউজটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক
করুন-
NEW YORK -- Kamilah Brock says the New York City police sent her to a mental hospital for a hellish eight days, where she was forcefully injected with powerful drugs, essentially because they couldn't believe a black woman owned a BMW.
In her first on-camera interview about her ordeal, which aired Thursday, the 32-year-old told PIX11 that it was all a "nightmare."
It's a nightmare, Brock's lawyer told The Huffington Post, that never would have happened if she weren't African-American...
তাই, বলছিলাম, পুলিশ যা বলবে সেটাই বিশ্বাস
করবে প্রশাসন, আপাত বিচার বিভাগ। তারপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যখন
নির্দোষ প্রমাণিত হবে, ততক্ষণে একজনের মানসিক, আর্থিক ও সমাজের বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু হারানো সময় ফিরিয়ে দেওয়া যাবে কি?
এর দায় কে বহন করবে তাহলে...!! (?)
No comments:
Post a Comment