পুলিশ জনসেবা করিয়াছে...হিতৈষীদের অপরাধী বানাইয়াছে
- আশিস বিশ্বাস (ashishbiswas@rocketmail.com), অনলাইন সংবাদকর্মী
ঢাকা: পুলিশ মহৎ কর্ম করিয়াছে...মহৎ কর্ম করিয়াছে...এবং অবশেষে
‘ঘরের খেয়ে যারা বনের মোষ তাড়াইতেন’, তাহাদের অপরাধী বানাইয়া শিশু পাচারকারী বানাইয়া
ছাড়িয়াছেন।
এই পুলিশদিগকে ‘রাষ্ট্রীয় নোবেল’ কিংবা ‘দেশিয় অস্কার’-এর ব্যবস্থা করিয়া সোহরাওয়ার্দী পার্কে নিয়া
জনসম্মুখে পুরস্কৃত করা হউক...নতুবা তাহাদের কৃতি ম্লান হইয়া যাইবে। কেন...কেন...কেন...???
তাহলে শুনুন-
আরিফুর রহমান, হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ চারজনকে পুলিশ আটক করেছে
এবং তাদের শিশু পাচারকারী হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরেছে। শুনে হয়ত নগরবাসী আশ্বস্তবোধ করেছেন, যখন সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রচার কিংবা প্রকাশ করেছে।
কিন্তু পরে জানা গেল, আটকরা কেউই শিশুপাচারকারী নন। বরং তারা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতেন, পথশিশুদের থাকা, খাওয়া এবং নিজেদের অবসর সময় হাতে না রেখে এদের পড়াতেন। প্রথমে তারা রাস্তাঘাটে শুরু করেন তাদের পড়ানো...তখন ২০১৩ সাল...শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা
তাদের কর্মপরিধি বাড়িয়ে নেন।
অনেকেই হয়ত তাদের মুখ চেনেন, সরাসরি পরিচয় নেই। কিন্তু যখন তারা রাস্তায় পড়াতেন তখন পথচারীরা বিস্ময় আর মুগ্ধচোখে তাদের দেখতেন। তাদের এত বড় মন থাকায় মনে মনে তাদের শুভ কামনা করতেন।
পুলিশের বক্তব্য
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বক্তব্য, আটকরা শিশু পাচারকারী। ডিএমপির ফেসবুক পেজে তাদের সে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তা হুবহু তুলে ধরা হচ্ছে-
“রাজধানীতে মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার ও ১০ শিশু উদ্ধার ১২/০৯/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ শনিবার সকাল ১১.০০ টায় রাজধানী রামপুরা
থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারকারী চক্রের ০৪ সদস্যকে গ্রেফাতার করেছে
রামপুরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নাম আরিফুর রহমান, হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ।
এ সময় তাদের হেফাজত হতে মোঃ মোবারক হোসেন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ বাবুল, মোঃ আব্বাস, মোঃ স্বপন, মোঃ আকাশ, মোঃ মান্না ইব্রাহিম আলী, মোঃ রাসেল, মোঃ রফিক ও মোঃ ফরহাদকে উদ্ধার করা হয়।
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান,
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
সংগঠনের নাম ‘মজার ইশকুল’
তারা মজার ইশকুল নাম দিয়ে শিশুদের জন্য সংগঠন দাঁড় করান। তাদের সেসব কার্যক্রম সংবাদমাধ্যমে প্রচার/প্রকাশও হয়েছে। এ সব তথ্য তাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে রয়েছে। চাইলেই যে কেউই দেখতে
ও পড়তে পারবেন।
পুলিশ যাদের আটক করেছেন, তারা তাদের সব তথ্য এমনকী ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং জবাবদিহিতার সব কিছুই উন্মুক্ত
করে রেখেছেন। শুধু তাইই নয়, তারা কতটাকা অনুদান পেয়েছেন, তার অংকটাও ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে।
দেশবাসীর সবার কাছে আবেদন, আটকরা যে নির্দোষ এবং পুলিশ যে মিথ্যাচারী তার প্রমাণ হিসেবে
কিছু ছবি এবং ওয়েবসাইটের লিংক তুলে দিচ্ছি।
Link:
সেই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছেও আহ্বান, তারা যেন এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ
করে।
দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশা, নিরীহ মানবদরদীদের মুক্ত করতে সবাই সহযোগিতার
হাত বাড়াবেন।
একটি স্যাটেলাইট টিভি তাদের কার্যক্রমের ওপর সংগঠকদের সাক্ষাৎকার নেয়। তা ইউটিউবে আছে। চাইলে যে কেউই তা একবার দেখে নিতে পারেন, নিচের লিংকে। যাদের কর্মতৎপরতা একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ আচরণ, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাই মনে করিয়ে দেয়। যারা রক্ষা করবেন, তারাই বিপদ...তাহলে দেশবাসী কার কাছে যাবে। সাধারণ মানুষ ভয়ে থানায় যেতে চান না। ভয় পান। ভাবেন, গেলে কী না কী হয়...! কিন্তু এত বড় একটা মিথ্যাচার দেশবাসীর পক্ষে একেবারেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই, যে যার মতো করে প্রতিবাদে শামিল হন, এটা আমাদের আহ্বান!
আটকদের বিষয়ে ফেসবুকে কে কী বলছেন-
(... আসছে...)
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
..................................................................................................................................
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
With these street children journalists of renowned daily and other personalities passing their time with joy...but police? what kind of conduct done with them! These young till now in the central jail...It's shame for our country, shame for our nation and shame for our police, though I born in the police family...sorry my country, sorry my young who serving the nation and helpless children and the family...
Salute to u...Salute to u...Salute to u and shame for my blood, which come through from...Ah...!!
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
..................................................................................................................................
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
আরিফুর রহমান,
হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ শিশু পাচারকারী না
এই শিরোনামের লিংকে দেখা যাবে শত শত ফেসবুক স্ট্যাটাস।
সে সব স্ট্যাটাসে ছবি, তথ্য, পূর্বাপর ঘটনা এবং ১৫ সেপ্টেম্বর একাত্তর টিভিতে প্রচারিত
‘মজার ইশকুল’-এর অন্য সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যাবে, আটক চারজন আসলে শিশু-পাচারকারী
নাকি মানুষ আর পুলিশ কি শুধু পুলিশই, নাকি অন্য কিছু!
এরপরেও কি ডিএমপি বলবে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা
শিশু-পাচারকারী হিসেবে স্বীকার করেছে?
ডিএমপির ফেসবুক পোস্টে তাইই বলা হয়েছে। অথচ ডিএমপির
বিপক্ষে ফেসবুক পোস্টে আটকদের সম্পর্কে যে তথ্য আমরা জানতে পেরেছি, তাতে তাদের
প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করতে ইচ্ছা করছে। অপরদিকে, পুলিশ যা করেছে, তার জন্য দেশের
অসম্মান বয়ে আনবে। কারণ, ইতোমধ্যে, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এ সব তথ্য চলে গেছে।
তাহলে ছি, বলবো কাকে! পুলিশ নাকি আটক ওই সব তরুণদের
যারা অনাথ শিশুদের পরিবারের আদরে গড়ে তুলছিল! নতুন করে আবার প্রশ্ন জাগলো- পুলিশ
মানুষ হবে কবে? কবে তাদের আচরণ মানবিক হবে? আমার লজ্জা লাগছে যে, আমিও একজন পুলিশ
সদস্যের সন্তান! আবার ভালো লাগে যখন
অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারি।
আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসের লিংক তুলে ব্লগে যুক্ত করে
দিচ্ছি। সেই সঙ্গে একাত্তর টিভির সেই ভিডিও ক্লিপের লিংকটাও ইউটিউব থেকে জুড়ে
দিলাম। কিন্তু আমার মনে বার বার প্রশ্নটা জাগতেই থাকবে- ‘পুলিশ মানুষ হবে কবে!’
শত শত স্ট্যাটাস পড়তে নিচের শিরোনামে ক্লিক করুন-
Now u can see the past photographs of yearly picnic-2014. These photographs really charming that some young done such a program...but police detained these young allegation against they are child-trafficker...
With these street children journalists of renowned daily and other personalities passing their time with joy...but police? what kind of conduct done with them! These young till now in the central jail...It's shame for our country, shame for our nation and shame for our police, though I born in the police family...sorry my country, sorry my young who serving the nation and helpless children and the family...
Salute to u...Salute to u...Salute to u and shame for my blood, which come through from...Ah...!!
Video clip of Ekattur tv channel which telecast on 15 Sept., Tuesday-
জাকিয়া সুলতানা 'মজার ইশকুল' সম্পর্কে বলছেন-
জাকিয়া সুলতানা 'মজার ইশকুল' সম্পর্কে বলছেন-
When they w'd be free then Bangladesh w'd be free...!
Joy Bangla !!
No comments:
Post a Comment