Popular Posts

Sunday, November 1, 2015

এবার আমরা কার কাছে যাবো!! (To whom we go now...!!)

এবার আমরা কার কাছে যাবো!!

- আশিস বিশ্বাস

(A publisher of slain writer-blogger Avijit Roy has been hacked to death hours after another publisher of his books was attacked in Dhaka.
Faisal Arefin Dipan, who ran 'Jagriti Prokashony', was hacked to death in his office on the second floor of Aziz Supermarket at Shahbagh on Saturday-bdnews)

এবার আমরা কার কাছে যাবো! কার কাছে ফরিয়াদ জানাবো! কে আমাদের সুরক্ষা দেবে!
এর নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের। সরকার ব্যর্থ! কিন্তু তা স্বীকার করছে না। তারা বলছে না, সরকার ব্যর্থ।


তাহলে! নিরাপত্তা তো আমরা পাচ্ছি না। যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, যারা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কিংবা বাকস্বাধীনতার কথা বলি, যারা অবৈজ্ঞানিক কথা, ব্যাখ্যার বিপক্ষে কথা বলি, তারা তো নিরাপদ থাকছি না। সব সময় চাপাতির আশঙ্কা তাড়া করে নিয়ে বেড়ায়।

ধর্ম কি কাউকে উগ্র হতে বলেছে! কাউকে হত্যা করার, চাপাতি, জবাই, আগুনে ঝলছে মারার কথা বলেছে। যদি বলা হয়, ধর্ম শান্তির জন্য। এটা কি শান্তি?? ধর্ম তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এভাবে হিংস্র হয়ে গেল কেন!

ভিন্নমতের কথা বললেই তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারা হচ্ছে, তাহে কি ধর্মের গোড়ায় গলদ!! পাশের দেশ ভারতে গরু খেলো বলে, পিটিয়ে হত্যা করা হলো, ব্লগ লিখছে বলে তার মুখ বন্ধ করতে নৃশংসতমভাবে হত্যা করা হলো। পাকিস্তানে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় একে-৪৭ দিয়ে ব্রাশ ফায়ার কিংবা বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হলো মানুষের দেহ। ছিন্নভিন্ন মাংসের টুকরা দেখে তারা শান্তি অনুভব করলো!

আর আমাদের দেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে কষ্ট দিয়ে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, তাহলে আমরা যাবো কার কাছে! কে আমাদের নিরাপত্তা দেবে! কে দেবে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি!!

আমরা না থাকলেও চাপাতির কোপ পড়বে, প্রথমে সংখ্যালঘু, তারপর আহমদিয়া, তারপর ভিন্নধর্মী, তারপর সংবাদমাধ্যম এবং শেষে নারীর ওপর।

নারী তো আরো বেশি ভোগের বস্তু তাদের কাছে। নারী কেন লেখাপড়া শিখবে, তারা কেন ঘরের বাইরে যাবে, কেন তারা বিমান চালাবে, কেন তারা দেশ চালাবে। এটা তো হতে পারে না। নারী থাকবে ঘরে, রান্নাবান্না আর সন্তান উৎপাদন করবে, এটাই নাকি ধর্ম বলেছে!

তাহলে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের নিরাপদ রাখতে পারছে না। আর তাদের কিছুই করতে পারছে না। দেশকে বাসযোগ্য করতে পারছে না। তাহলে কি আমরা ঘাতকদের হাতে দেশ ছেড়ে দেবো নাকি পিটিয়ে হত্যা, কুপিয়ে হত্যা, জবাই কিংবা আগুনে পুড়িয়ে মারার ধর্মে দীক্ষা নেবো নাকি নিজেরাই আত্মহননের পথ বেছে নেবো বুঝতে পারছি না।
বোধের সবটুকু বোধ হারিয়ে গেছে আমাদের। আমরা বাকরুদ্ধ…তাহলে আমাদের ভবিষ্যত কী!…কী কী কী কী…!!!!

শ্রদ্ধেয় আলী রিয়াজ স্যারও বাকরুদ্ধ -






..................................

News
..........


Avijit Roy’s publisher Dipan hacked to death at Shahbagh hours after attack on another publisher

A publisher of slain writer-blogger Avijit Roy has been hacked to death hours after another publisher of his books was attacked in Dhaka.
Faisal Arefin Dipan, who ran 'Jagriti Prokashony', was hacked to death in his office on the second floor of Aziz Supermarket at Shahbagh on Saturday, blogger and online activist Mahmudul Haque Munshi told bdnews24.com.

Dipan was attacked hours after another publisher Ahmedur Rashid Tutul was attacked with sharp weapons.
He was declared dead by doctors after being taken to Dhaka Medical College Hospital (DMCH), police said.

Tutul is being treated at DMCH along with writer Ranadipam Basu and blogger Tarek Rahim, who were also injured in the attack.

Tutul, who owns publishing house ‘Shuddhaswar’, was hacked up in his office at Lalmatia around 2:30pm along with blogger Rahim and writer Basu.

Doctors said Tutul and Rahim were in critical condition.

Later, DMP Commissioner Asaduzzaman Mia, quoting doctors, said all the three were out of danger.
'Shuddhaswar' had published a number of books written by Avijit Roy.

Faisal Arefin Dipan was the only son of well-known writer and professor of Dhaka University’s Bengali department Abul Kashem Fazlul Haque.

His 'Jagriti Prokashony' had published Avijit Roy's popular title ‘Biswaser Virus’ (Virus of Faith).

The book was a hit with rationalists and freethinkers, but it had upset the Islamist radicals, who are suspected to be involved in his murder.

Roy was murdered by machete-wielding killers in the Dhaka University campus in February this year during the Amar Ekushey Book Fair.

Son of well-known physicist Ajoy Roy, Avijit was an US citizen but a passionate blogger and writer who promoted rationality and science.

Dipan was a classmate of Avijit at Udayan School. He studied economics at Dhaka University. His wife is a doctor. He left behind two children.

Aziz Supermarket Traders Association General Secretary Morsalin Ahmed said the shops at the market were closed after the news of the attack on Dipan broke in the evening.

Dipan’s father Professor Haque said the publisher had left home for office around 1:30pm.

No one received the call on his mobile phone when the family tried to reach him around 4:30pm, he said.
The Dhaka University teacher said he went to the office after around an hour and found his son ‘beheaded’.
He suspects that Dipan was killed for publishing Avijit’s books.

“He had no enemies. They have attacked others who published Avijit’s books. So it is natural to presume that they have also killed my son,” he said.

Though no group has claimed responsibility for the serial attacks on the two publishers on Saturday, bloggers and online activists are blaming Islamist radicals for them.

Dhaka police spokesperson Muntasirul Islam told bdnews24.com that Dipan's was a 'pre-planned murder.'
"It seems more than one assassin were involved in the murder."

Like during previous attacks on secular bloggers, Saturday's attacks on the two publishers were also carried out with sharp weapons.

Dhaka Metropolitan Police (Ramna Zone) ADC Mohammad Jashim told bdnews24.com that Dipan was rushed to the hospital around 6pm after the attack, with blood all over his body.

Doctors declared him dead soon after.

'Jagriti Prokashony' employee Md Alauddin told bdnews24.com: "When I entered the office around 5:30pm, Dipan was lying in a pool of blood. There were deep cuts on his neck and upper shoulder."

Saturday's serial attacks on the two publishers have raised the heckles in Bangladesh's huge fraternity of secular thinkers and intellectuals.

Film maker and writer Shahriar Kabir denounced the attacks.

"These assassinations remind us of the killings of Bengali intellectuals by the Pakistanis. The same fundamentalist forces are attacking our free thinkers now. We must fight them with all we have."
Some secular groups also blamed the government for failing to provide protection.

Ganajagaran Mancha spokesperson Imran H Sarker said these attacks prove the "law enforcing agencies have totally failed".

"It is also not possible to carry out these attacks without connivance of some in the government," Sarker told reporters at Dhaka Medical College Hospital.


Wednesday, September 16, 2015

বিশ্বের পুলিশ ভাই ভাই, মোদের কোনো সীমা নাই!



বিশ্বের পুলিশ ভাই ভাই, মোদের কোনো সীমা নাই!


-         আশিস বিশ্বাস, অনলাইন সংবাদকর্মী




মাদের পুলিশ বাহিনী গুণগত মানে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমান। কারণ, তারা ওই দেশের সমান পারদর্শিতা অর্জন করেছে। এখন মানে ও মনে সমান তারা। সে কারণে আচরণও এক!

তার অনেক উদাহরণ থাকলেও দুই দেশের মাত্র একটি একটি ঘটনার উদাহরণই যথেষ্ট হবে বলে আমার মনে হলো। দুই দেশের দুটো ঘটনাই একই দিনে ঘটেছে- ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫। বাংলাদেশে ঘটেছে ঢাকায় আর মার্কিন মুলুকে নিউইয়র্কে।

বাংলাদেশে একদল তরুণ মজার ইশকুল নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করেন। তারা মূলত পথশিশুদের () জন্য লেখাপড়া করানো, খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করে তারা। তাদের কর্মকাণ্ডটা মূলত স্বেচ্ছাসেবী। তারা ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে পথশিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথমে রাস্তায় বসেই তারা পথশিশুদের পড়াতেন। পরে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন।

এরই এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের আটক করে শিশু পাচারকারী হিসেবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে তা পোস্ট করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তারা শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য।

(DMP statement)

কী লজ্জা, কী লজ্জা আমাদের...আটকদের নয়। সীমাহীন ঘৃণা সেই সব পুলিশদের যারা এই মহান হৃদয়ের তরুণদের আটক করে আদালতে তুলেছে। কারাগারে পাঠিয়েছে।

গুটিকয়েক পুলিশ অসাধু পুলিশ সদস্যের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনী কলঙ্কিত হলো!


আটকরা যদি শিশু পাচারকারী হবে, তাহলে হাজার হাজার ফেসবুক কমেন্ট পড়বে কেন। প্রথমে পুলিশের কারণে সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য পরিবেশিত হলেও তারা যে, শিশু পাচারকারী নয়, সে বিষয়ে সবধরনের তথ্যই তারা তুলে ধরেছে। টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, প্রিন্ট মিডিয়া, ব্লগার, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী আসলে সমাজের সবাই এদের পেছেন এসে দাঁড়িয়েছেন।

মজার ইশকুল-এর খবর প্রচার করলো এনটিভি



যত তাড়াতাড়ি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এদের মুক্ত করা যাবে, ততই পুলিশ বাহিনী লজ্জামুক্ত হবে। আমরা ততই দোষমুক্ত, ভারমুক্ত হবো...যত দেরি হবে, তত বেশি আমরা বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হতেই থাকবো...জাতি হিসেবে আমাদের মাথা হেঁট হতেই থাকবে।

মজার ইশকুল সম্পর্কে বক্তব্য রাখছেন জাকিয়া সুলতানা-



মজার ইশকুল-এর স্পোর্টসের খবর এটিএন বাংলায়-


২.
তুমি কৃষ্ণাঙ্গ, তাই বিএমডব্লিউ তোমার নয়- নিউইয়র্ক পুলিশ

Kamilah Brock

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- কৃষ্ণাঙ্গ বলে পুলিশের বিশ্বাস হয়নি দামি গাড়ির মালিক হতে পারেন তিনি। ঘটনাটি পৃথিবীর সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের এবং তারিখ একই ১২ সেপ্টেম্বর।

এদিন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ একই কাজ করেছে। জোর করে তাদের ইচ্ছে চাপিয়ে দিয়েছে।

এদিন কামিলা ব্রক (Kamilah Brock) এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী তার বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। মনের আনন্দে গান শুনতে শুনতে যাচ্ছিলেন তিনি। তা সহ্য হয়নি বর্ণবাদী পুলিশের। তাই পথিমধ্যে তার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।


তিনি যে বিএমডব্লিউ-এর মালিক হতে পারে তা বিশ্বাস করেনি নিউইয়র্ক পুলিশ। তার কথা একেবারে পাত্তা না দিয়ে জোর করে কামিলাকে মানসিক হাসপাতলে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আবার জোর করে তার শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন পুশ করা হয়। সেখানে আটদিন ছিলেন কামিলা ব্রক (Kamilah Brock)

কামিলা ফিরে আসার পর ঘটনাটি প্রকাশ পায়। পুলিশ ভুল নয় বরং ইচ্ছে করেই অপরাধ করতে পারে, সেই সঙ্গে দেশের নাগরিকের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করতে পারে, তার বড় প্রমাণ দিলো ওই কৃষ্ণাঙ্গ নারীর সঙ্গে।

হাফিংটন পোস্টের নিউজটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

NEW YORK -- Kamilah Brock says the New York City police sent her to a mental hospital for a hellish eight days, where she was forcefully injected with powerful drugs, essentially because they couldn't believe a black woman owned a BMW. 
In her first on-camera interview about her ordeal, which aired Thursday, the 32-year-old told PIX11 that it was all a "nightmare."
It's a nightmare, Brock's lawyer told The Huffington Post, that never would have happened if she weren't African-American...  

তাই, বলছিলাম, পুলিশ যা বলবে সেটাই বিশ্বাস করবে প্রশাসন, আপাত বিচার বিভাগ। তারপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যখন নির্দোষ প্রমাণিত হবে, ততক্ষণে একজনের মানসিক, আর্থিক ও সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু হারানো সময় ফিরিয়ে দেওয়া যাবে কি? এর দায় কে বহন করবে তাহলে...!! (?)



Tuesday, September 15, 2015

পুলিশ জনসেবা করিয়াছে...হিতৈষীদের অপরাধী বানাইয়াছে



পুলিশ জনসেবা করিয়াছে...হিতৈষীদের অপরাধী বানাইয়াছে

- আশিস বিশ্বাস (ashishbiswas@rocketmail.com), অনলাইন সংবাদকর্মী

ঢাকা: পুলিশ মহৎ কর্ম করিয়াছে...মহৎ কর্ম করিয়াছে...এবং অবশেষে ঘরের খেয়ে যারা বনের মোষ তাড়াইতেন’, তাহাদের অপরাধী বানাইয়া শিশু পাচারকারী বানাইয়া ছাড়িয়াছেন

এই পুলিশদিগকে রাষ্ট্রীয় নোবেলকিংবা দেশিয় অস্কার’-এর ব্যবস্থা করিয়া সোহরাওয়ার্দী পার্কে নিয়া জনসম্মুখে পুরস্কৃত করা হউক...নতুবা তাহাদের কৃতি ম্লান হইয়া যাইবেকেন...কেন...কেন...???

তাহলে শুনুন-

আরিফুর রহমান, হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ চারজনকে পুলিশ আটক করেছে এবং তাদের শিশু পাচারকারী হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরেছেশুনে হয়ত নগরবাসী আশ্বস্তবোধ করেছেন, যখন সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রচার কিংবা প্রকাশ করেছে

কিন্তু পরে জানা গেল, আটকরা কেউই শিশুপাচারকারী ননবরং তারা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতেন, পথশিশুদের থাকা, খাওয়া এবং নিজেদের অবসর সময় হাতে না রেখে এদের পড়াতেনপ্রথমে তারা রাস্তাঘাটে শুরু করেন তাদের পড়ানো...তখন ২০১৩ সাল...শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা তাদের কর্মপরিধি বাড়িয়ে নেন

অনেকেই হয়ত তাদের মুখ চেনেন, সরাসরি পরিচয় নেইকিন্তু যখন তারা রাস্তায় পড়াতেন তখন পথচারীরা বিস্ময় আর মুগ্ধচোখে তাদের দেখতেনতাদের এত বড় মন থাকায় মনে মনে তাদের শুভ কামনা করতেন


পুলিশের বক্তব্য
 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বক্তব্য, আটকরা শিশু পাচারকারীডিএমপির ফেসবুক পেজে তাদের সে বক্তব্য তুলে ধরা হয়তা হুবহু তুলে ধরা হচ্ছে-


রাজধানীতে মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার ও ১০ শিশু উদ্ধার ১২/০৯/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ শনিবার সকাল ১১.০০ টায় রাজধানী রামপুরা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারকারী চক্রের ০৪ সদস্যকে গ্রেফাতার করেছে রামপুরা থানা পুলিশগ্রেফতারকৃতদের নাম আরিফুর রহমান, হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ

এ সময় তাদের হেফাজত হতে মোঃ মোবারক হোসেন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ বাবুল, মোঃ আব্বাস, মোঃ স্বপন, মোঃ আকাশ, মোঃ মান্না ইব্রাহিম আলী, মোঃ রাসেল, মোঃ রফিক ও মোঃ ফরহাদকে উদ্ধার করা হয়


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যতারা রাজধানীসহ আশপাশ জেলা শহর হতে শিশু সংগ্রহ করে পাচার করে আসছে

রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে

সংগঠনের নাম মজার ইশকুল
তারা মজার ইশকুল নাম দিয়ে শিশুদের জন্য সংগঠন দাঁড় করানতাদের সেসব কার্যক্রম সংবাদমাধ্যমে প্রচার/প্রকাশও হয়েছেএ সব তথ্য তাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে রয়েছেচাইলেই যে কেউই দেখতে ও পড়তে পারবেন

পুলিশ যাদের আটক করেছেন, তারা তাদের সব তথ্য এমনকী ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং জবাবদিহিতার সব কিছুই উন্মুক্ত করে রেখেছেনশুধু তাইই নয়, তারা কতটাকা অনুদান পেয়েছেন, তার অংকটাও ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে

পুলিশ কেন তাদের আটক করে চালান দিলো এবং অবৈধভাবে প্রেস ব্রিফিং করে তাদের ছবি এবং উদ্ধার হিসেবে ১০ শিশুর ছবি দিলো, তা রহস্যজনক

দেশবাসীর সবার কাছে আবেদন, আটকরা যে নির্দোষ এবং পুলিশ যে মিথ্যাচারী তার প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবি এবং ওয়েবসাইটের লিংক তুলে দিচ্ছি। 
Link:






এসবের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সংসদ, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন, তথ্যগুলো যেন ঘেটে দেখা হয়এতে যদি তারা নির্দোষ এবং মানবহিতৈষী বলে মনে হয়, তাহলে তাদের সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হোকসেই সঙ্গে দোষী পুলিশ সদস্যদের শুধুমাত্র সাময়িক বরখাস্ত নয়, তাদের চাকরি থেকে বরাখাস্ত করে ফৌজদারি আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া হোক
সেই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছেও আহ্বান, তারা যেন এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে
দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশা, নিরীহ মানবদরদীদের মুক্ত করতে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়াবেন

একটি স্যাটেলাইট টিভি তাদের কার্যক্রমের ওপর সংগঠকদের সাক্ষাৎকার নেয়। তা ইউটিউবে আছে। চাইলে যে কেউই তা একবার দেখে নিতে পারেন, নিচের লিংকে। যাদের কর্মতৎপরতা একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ আচরণ, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাই মনে করিয়ে দেয়। যারা রক্ষা করবেন, তারাই বিপদ...তাহলে দেশবাসী কার কাছে যাবে। সাধারণ মানুষ ভয়ে থানায় যেতে চান না। ভয় পান। ভাবেন, গেলে কী না কী হয়...! কিন্তু এত বড় একটা মিথ্যাচার দেশবাসীর পক্ষে একেবারেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই, যে যার মতো করে প্রতিবাদে শামিল হন, এটা আমাদের আহ্বান!



    
আটকদের বিষয়ে ফেসবুকে কে কী বলছেন-

 
(... আসছে...)

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ 
..................................................................................................................................
 ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫


আরিফুর রহমান, হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ শিশু পাচারকারী না

এই শিরোনামের লিংকে দেখা যাবে শত শত ফেসবুক স্ট্যাটাস। সে সব স্ট্যাটাসে ছবি, তথ্য, পূর্বাপর ঘটনা এবং ১৫ সেপ্টেম্বর একাত্তর টিভিতে প্রচারিত ‘মজার ইশকুল’-এর অন্য সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যাবে, আটক চারজন আসলে শিশু-পাচারকারী নাকি মানুষ আর পুলিশ কি শুধু পুলিশই, নাকি অন্য কিছু!

এরপরেও কি ডিএমপি বলবে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিশু-পাচারকারী হিসেবে স্বীকার করেছে?

ডিএমপির ফেসবুক পোস্টে তাইই বলা হয়েছে। অথচ ডিএমপির বিপক্ষে ফেসবুক পোস্টে আটকদের সম্পর্কে যে তথ্য আমরা জানতে পেরেছি, তাতে তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করতে ইচ্ছা করছে। অপরদিকে, পুলিশ যা করেছে, তার জন্য দেশের অসম্মান বয়ে আনবে। কারণ, ইতোমধ্যে, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এ সব তথ্য চলে গেছে।


তাহলে ছি, বলবো কাকে! পুলিশ নাকি আটক ওই সব তরুণদের যারা অনাথ শিশুদের পরিবারের আদরে গড়ে তুলছিল! নতুন করে আবার প্রশ্ন জাগলো- পুলিশ মানুষ হবে কবে? কবে তাদের আচরণ মানবিক হবে? আমার লজ্জা লাগছে যে, আমিও একজন পুলিশ সদস্যের সন্তান! আবার ভালো লাগে যখন  অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারি।


আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসের লিংক তুলে ব্লগে যুক্ত করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে একাত্তর টিভির সেই ভিডিও ক্লিপের লিংকটাও ইউটিউব থেকে জুড়ে দিলাম। কিন্তু আমার মনে বার বার প্রশ্নটা জাগতেই থাকবে- ‘পুলিশ মানুষ হবে কবে!’ 

শত শত স্ট্যাটাস পড়তে নিচের শিরোনামে ক্লিক করুন-


Now u can see the past photographs of yearly picnic-2014. These photographs really charming that some young done such a program...but police detained these young allegation against they are child-trafficker...

With these street children journalists of renowned daily and other personalities passing their time with joy...but police? what kind of conduct done with them! These young till now in the central jail...It's shame for our country, shame for our nation and shame for our police, though I born in the police family...sorry my country, sorry my young who serving the nation and helpless children and the family...



Salute to u...Salute to u...Salute to u and shame for my blood, which come through from...Ah...!!

Video clip of Ekattur tv channel which telecast on 15 Sept., Tuesday-


জাকিয়া সুলতানা 'মজার ইশকুল' সম্পর্কে বলছেন-


  





 When they w'd be free then Bangladesh w'd be free...! 
                                     Joy Bangla !!


Monday, September 14, 2015

শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার: ভ্যাট প্রত্যাহার করে শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়াতে হবে




শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার

ভ্যাট প্রত্যাহার করে শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়াতে হবে
  - আশিস বিশ্বাস

শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার- এ স্লোগানটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো আগাগোড়াই দিয়ে এসেছে। এখনো দেয়, তবে কম। মনে আছে, এক সময় তারা ইউনেস্কো ঘোষিত সনদ অনুযায়ী জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়ে এসেছেন।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, শিক্ষা অধিকার, সুযোগ নয়। প্রত্যেক নাগরিকের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং সেটা হওয়ার কথা অবৈতনিক। সবার জন্য শিক্ষা মৌলিক অধিকার।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুদরাত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন সুপারিশ করেছিল, দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা থাকবে না। শিক্ষা হবে একমুখী। অর্থাৎ ইংরেজি শিক্ষামাধ্যম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেসরকারি কোনো শিক্ষাব্যবস্থা থাকবে না। সবাই মৌলিক অধিকার হিসেবে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। ব্যক্তিমালিকানায় বা প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না।  

কিন্তু ৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংবিধানের ধারা উপেক্ষিত হয়েছে। এখনো তা চলছে।







সংবিধান বলছে, দেশের সবার শিক্ষাদান করবে রাষ্ট্র এবং সেটি হবে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন।

অনেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলো আর গেল। কিন্তু লুটেরাদের অবস্থান সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থবিরাধী। সে কারণে সংবিধান লঙ্ঘন করেই তারা ইংরেজি শিক্ষামাধ্যম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। এ সব প্রতিষ্ঠানের মালিক হয় মন্ত্রী, এমপি কিংবা বড় বড় ব্যবসায়ী।

শিক্ষা মৌলিক অধিকার হলেও ব্যক্তি স্বার্থে মুনাফা অর্জনের উপায় হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্য বানিয়েছেন। শিক্ষা পণ্য আর শিক্ষার্থীরা ভোক্তা। অথচ শিক্ষা একটি সেবাখাত, যেমনটা স্বাস্থ্যখাত। সেবাখাত মানে রাষ্ট্র এখাতে ভর্তুকি দেবে। রাষ্ট্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। এ ছাড়া জাতীয় আয়ের নির্দিষ্ট একটা অংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করবে । ইউনেস্কো এটা নির্ধারণ করেছে জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশ।




এদিকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশে শিক্ষায় বৈষম্য তৈরি করা হয়েছিল। বিভাজন টানা হয়েছিল, সাধারণ শিক্ষা আর ধনিক শ্রেণির শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবেপরবর্তীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংকটের কারণে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হন।

দেশে এখন সম্ভবত ৮৩টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, হাতেগোনা দুই/একটি ছাড়া বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রতিষ্ঠার শর্ত পূরণ করেনি। ফলে যে সব শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে মানসম্মত শিক্ষাটা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া ভৌত সমস্যা তো আছেই। 

আরো দু:খের বিষয়, বেসরকারি বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় যারা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম শর্তগুলোও পূরণ করেনি। শিক্ষার্থীদের যে সব সুবিধা দেওয়ার কথা, তা বেসরকারি বিদ্যালয়ের মালিক/কর্তৃপক্ষ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং এখনো করে চলেছে। অন্যদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে তাদের সব শর্ত পূরণ করে, তার জন্য কঠোর নজরদারি করেনি সরকার। এর কারণ, যারা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক, হয় তারা নিজেরাই ক্ষমতায় আছেন কিংবা ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান করছেন। সে কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মালিক পক্ষ। রাষ্ট্র এ সব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করলে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি এত টিউশন ফিসহ নানা অজুহাতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বছর বছর হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকতো না।





বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিক/কর্তৃপক্ষ শিক্ষাকে একবারেই পণ্য বানিয়ে ফেলেছেন দেশের সংবিধানকে লঙ্খন করে। শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে ফেলেছেন বলেই অর্থমন্ত্রী বলার সাহস পাচ্ছেন, ভ্যাট দিতেই হবে। ভ্যাট তো দিতে হয় তো পণ্য কেনার জন্য। অর্থাৎ ভোগের নিমিত্তে। যেমন- হোটেল রেস্টুরেন্টে খেলে ভোক্তাকে ভ্যাট দিতে হয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মালিক/কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি শিক্ষাকে পণ্য হিসেবেই বিবেচনা করে ভ্যাট চাইছেন তিনি। অদ্ভুত দেশ। রাষ্ট্রও মনে করছে, শিক্ষা পণ্য; নইলে ভ্যাট চাইবে কেন!

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে দাবি তুলেছেন, তা রাষ্ট্রের মেনে নেওয়া উচিত। শুধুই তাইই নয়, আমি আরো এক ধাপ এগিয়ে দাবি করবো, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অধিগ্রহণ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে যাবেন। তাদের মাসিক বেতন, হল, সিটভাড়া, ডাইনিং, ক্যান্টিন, খেলার মাঠ, বড় ক্যাম্পাসের সুযোগ ভোগ করতে পারবেন। তাদের টিউশন ফি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বছরে কয়েক হাজারে এসে ঠেকবে এবং শিক্ষারমানও উন্নত হবে। কারণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা আর লুটেরা মনোভাব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চিতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।


তাই আমার দাবি, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অধিগ্রহণ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হোক। এতে করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও বাঁচবেন আর দেশবাসী মানসম্মত শিক্ষার সুফল ভোগ করতে পারবেন।

তাই আর দেরি না করে সংবিধান অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হোক। আর তাতে আমরা শিক্ষিত জাতি উপহার হিসেবে পাবো। বাস্তবায়ন হবে কুদরাত-ই খুদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ, যা ৭২ পরবর্তী সরকার একান্তভাবেই চেয়েছিল। বিশেষত, বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক ইচ্ছা ছিল কুদরাত-ই খুদার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা।

মনে রাখতে হবে, শিক্ষা মৌলিক অধিকার এবং সেবাখাত। এতে কোনো ধরনের ভ্যাট আরোপ করা যায় না। ভুতুড়ে ভ্যাট (ভ্যালু অ্যাডেট ট্যাক্স, মূল্য সংযোজন কর) প্রত্যাহার করুন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করুন। তাহলেই দেশ এক বিভাজনের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে রেহাই পাবে। সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে বরং জাতীয় আয়ের (ইউনেস্কো ঘোষিত) ৭ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করুন। এটিই এখন রাষ্ট্রের জরুরি দায়িত্ব।

মনে রাখতে হবে- সংবিধান অনুযায়ী, শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার।